মাইজভান্ডারী তরিকার প্রবর্তক, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) এঁর জন্ম দ্বিশতবার্ষিকী স্মারক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ এবং দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিরি) এর যৌথ উদ্যোগে সুফি সাইকোলজি ডায়ালগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফস্থ ডিরি কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘ফরিয়াদি প্রথার মাধ্যমে মাইজভান্ডারী সুফি কাউন্সিলিং : এক দেশীয় নিরাময় পদ্ধতি’। দেশের শীর্ষ মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও গবেষকগণ এতে অংশ নেন।
সেমিনারে সেশন চেয়ার হিসেবে সভাপতিত্ব করেন ডিরি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি শাহজাদা সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী। কী নোট স্পিকার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ডিরি’র মেম্বার সেক্রেটারি কাজী মো. সাইফুল আসপিয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
কী নোট স্পিকার ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, মাইজভান্ডারী ফরিয়াদি প্রথা একটি কার্যকরী বৈজ্ঞানিক নিরাময় পদ্ধতি। এখানে বাস্তবতার নিরিখে ফরিয়াদ নিয়ে আসা মানুষদের সমস্যার সমাধান দেওয়া হয়। ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ধর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়ে সমাধানগুলো দিয়ে থাকেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বর্তমানে হিলিং এর সক্ষমতা আমরা দিন দিন হারিয়ে ফেলছি, যার কারণে আমরা দিন দিন ঔষুধ নির্ভর হয়ে যাচ্ছি। মাইজভান্ডার দরবার আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ও মনস্তত্তকে একিভূত করে কাজ করছে। সুফিজম মানুষের ভেতরের আলো জ্বালিয়ে আত্মশুদ্ধি নিশ্চিত করে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক।
বিডি প্রতিদিন/এএম