নিবন্ধনের দাবিতে অনশনে থাকা আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে তিনি হাসপাতালে যেতে রাজি হন। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারেকের সঙ্গে কথা বলতে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে যান এই বিএনপি নেতা। পঞ্চম দিনের মাথায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এসে অনশনের পালায় ইতি টানেন।
জানতে চাইলে আমজনতার দলের সভাপতি মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা কেউ তারেককে রাজি করাতে পারছিলাম না। অবশেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন সাহেব আসেন; তার অনুরোধে তাকে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটক থেকে স্বাস্থ্যগত কারণে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’ তবে তারেক অনশন ভাঙেননি বলে জানান এ নেতা। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি আপিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা উপসচিব শহীদ আবদুস সালাম বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে তারেককে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটক থেকে হাসপাতালের দিকে নেওয়া হয়েছে। তারেককে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আক্কাস আলী।
নিবন্ধনের দাবিতে অনশনে থাকা আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমানকে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার জন্য গতকাল বিকালে আহ্বান জানিয়েছেন সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, আমজনতার দল আইনসম্মত পথে এগোলে ইসি বিষয়টি বিবেচনায় নেবে। আইনগত দিক থেকে আমাদের যেটুকু বলার, সেটা চিঠির মাধ্যমে বলেছি। এখন আপিল করতে পারেন, ঘাটতি যেগুলো আছে পূরণ করে দিতে পারেন। আপিল, সংশোধন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সময় বাড়ানো এগুলো প্রচলিত প্রথা।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। দলগুলো নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তা ১২ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে।
এবার ১৪৩টি দল নিবন্ধনের আবেদন করলে ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ যায় ১২১টি। ২২টি দলের মাঠপর্যায়ে সরেজমিন তদন্ত শেষে নিবন্ধন শর্তপূরণ করায় তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ইতোমধ্যে নিবন্ধন না পাওয়ার কারণ তুলে ধরে আমজনতার দলটির সভাপতিকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।