টানা ১৬ দিনের অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিদ্যুৎ বিভাগের লিখিত আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেইসঙ্গে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং গ্রাহক ভোগান্তি কমানোর স্বার্থে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘোষণা দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-সচিব মো. সোলায়মান ও ফারজানা খানম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আন্দোলনে সংহতি জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমে বৈষম্য, দমন-পীড়ন, নিম্নমানের মালামাল ক্রয় এবং আরইবির দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তিনি আরও বলেন, "আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না" এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮০টি শাখার ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলনে অংশ নেন। তাদের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ, অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ী নিয়োগ ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে ২১ মে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন তারা।
বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠকে দাবিগুলোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর এবং বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত দপ্তর আদেশ জারি হওয়ায় আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তাজুল ইসলাম। সেই সঙ্গে আন্দোলনরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা