মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠী আরসার অস্ত্র সরবরাহকারীসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব-১৫। তারা হলেন- মোক্তার আহমদ (৫২), আবদুর রহিম (৪০) ও মো. এনামুল হক (৩৮)। তারা মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা। আটক মোক্তার আরসার অস্ত্র সরবরাহকারী।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বড় ভেওলা এলাকায় গতকাল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তিনটি একনলা বন্দুক, একটি দুনলা বন্দুক এবং অস্ত্র বিক্রির নগদ ১ লাখ ৫ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন তার কার্যালয়ে গতকাল বিকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্ত্রের উৎস উদঘাটনে র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। কতিপয় অস্ত্র ব্যবসায়ী কক্সবাজার মহেশখালী থেকে সিএনজি অটোরিকশায় উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে অস্ত্র সরবরাহের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা চকরিয়ার বড় ভেওলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা চেকপোস্টের সামনে পৌঁছলে র্যাব সদস্যরা থামার সংকেত দেওয়ার সঙ্গেই কতিপয় অস্ত্র ব্যবসায়ী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন চালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। র্যাব-১৫ অধিনায়ক বলেন, আটক তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন মহেশখালী ও চকরিয়া থানা এলাকায় গোপনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন দুষ্কৃতকারীদের কাছে নিয়মিত অস্ত্র বিক্রি করে আসছে।
