আইপিএলের সেইসব ক্রিকেটারদের ভুলতে বসেছে ক্রিকেট প্রেমীরা। যাদের পারফরম্যান্স এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, ‘তুরি মেরে’ দলের জয় ছিনিয়ে আনতেন। সেরা পারফরম্যান্স, নজর কাড়া প্রচার সব কিছু পেয়েও পরের আইপিএলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। এখনও তার মধ্যে বেশ কিছু ক্রিকেটার কোনও রকমে খেলে যাচ্ছেন। কেউ বা বিদায়ও নিয়ে নিয়েছেন। এক নজরে দেখে নেওয়া সেই সব ক্রিকেটারদের ঝলসে ওঠা রুপোলি দিনগুলো, যা পরের বার থেকেই ফিকে হয়ে গেছে।
সৌরভ তিওয়ারি- এই ক্রিকেটার ২০১০ আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নজর কেড়েছিলেন সবার। ১৬টি ম্যাচে তার রান ছিল ৪১৯। স্ট্রাইক রেট ১৩৫-র বেশি। এর পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেশ দর দিয়ে তাকে কিনলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান সৌরভ তিওয়ারি।
মনপ্রীত গনি- চেন্নাই সুপার কিঙ্গসের এই পেসার এক সময় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অন্যতম ভরসার বোলার ছিলেন। ২০০৮ আইপিএলে অভিষেক হওয়া পঞ্জাবের এই পেসার ওই মরসুমে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন। প্রতি ৩.৩ ওভারে একটি করে উইকেট। পরের বছরগুলোয় কিন্তু আর সে ভাবে কিছু করে উঠতে পারেননি মনপ্রীত গনি।
শ্রীনাথ অরবিন্দ- এই নামটা অনেকের কাছে অপরিচিত। কিন্তু ২০১১ আইপিএলে ফিরে তাকালে, দেখা যাবে কর্নাটকের বাঁ হাতি এই মিডিয়াম পেসারকে নিয়ে যথেষ্ট হইচই হয়েছিল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জারের হয়ে সেই মরসুমে ১৩টি ম্যাচে ২১টি উইকেট নিয়েছিলেন। পরের বছর সুযোগ পেলেও সে ভাবে কাজে লাগাতে পারেননি শ্রীনাথ।
স্বপ্নীল অসনোদকর- খোদ শেন ওয়ার্ন তার নাম দিয়েছিলেন ‘গোয়ার কামান’। প্রথম আইপিএলে গোয়ার এই ব্যাটসম্যানের ব্যাটই কামান হয়ে উঠেছিল। রাজস্থান রয়্যালস যে প্রথম আইপিএলের খেতাব জিতেছিল, সঞ্জু স্যামসন, ইউসুফ পাঠানের মতো স্বপ্নীলের অবদানও কম ছিল না। ৯টি ম্যাচে ৩১১ রান করেছিলেন সেই মৌসুমে।
পল ভলথাটি- এখনও এই নামটা অনেকের মনে জ্বলজ্বল করছে। ২০১১ আইপিএলে মহারাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান রাতারাতি হিরো হয়ে উঠেছিলেন। ১৪টি ম্যাচে তার রান ছিল ৪৬৩। এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি করে নজর কেড়েছিলেন ভ্যালথ্যাটি। পরের আইপিলএল থেকে আস্তে আস্তে নামটা মুছে যায় এই মারকুটে ব্যাটসম্যানের।
সূত্র: আনন্দবাজার