কুমিল্লায় কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন ৬০ জন। তাদের মধ্যে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫ জন। এছাড়া, বিকেল পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা বলছেন, মাংস কাটাকাটিতে অনভিজ্ঞ হওয়ায় হাত-পা কেটেছে তাদের। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লা সদর উপজেলার ধনপুর ইমরান আহমেদ আহমেদ বলেন, ঈদের খুশিতে বাড়ির সবাই মিলে কোরবানি দেই। তারপর মাংস কাটার সময় আমার আঙুলে লাগে। প্রথমে টের পাইনি, পরে দেখি রক্ত ঝরছে। হাসপাতালে আসার পর তিনটি সেলাই দিয়েছে।
সদর উপজেলার ভুবনঘর এলাকার কাশেম তালুকদার গরুর হাড় কাটতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন হাতের কব্জিতে। তিনি জানান, জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
টিক্কার চর এলাকা থেকে আসা মো. রাসেল বলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়া মাংস কাটতে গেলে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটবেই। কারণ মাংস কাটাকাটির সময় ছুরি বা চাপাতি পিছলে যায়। তাই অভিজ্ঞতা ছাড়া এ কাজে না আসাই ভালো।
ঝাউতলা থেকে আসা পেশাদার কসাই জাহঙ্গীর আলম জানান, হাড় কোপাতে গিয়ে তার পায়ে চাপাতি লেগেছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. জোবায়ের বলেন, আহত যারা এসেছেন তারা বেশিরভাগই একদিনের জন্য মাংস কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবারই প্রায় হাতের আঙুলে ও পায়ে আঘাত। ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত আমরা অন্তত ২৫ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। যারা গুরুতর আহত তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ