ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পীরগঞ্জে লাচ্চি নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ
আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও:

পীরগঞ্জ উপজেলায় লাচ্চি নদী পুন:খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট পৌরসভার মেয়রের অভিযোগ অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করায় নদীটি ছোট হচ্ছে। এছাড়া নদীর পাড় বালু দিয়ে নির্মাণ ভরাট করায় এবারের বর্ষায় আবারো বালু ধসে ভরাট হবে নদী। 

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ পৌরসভাকে দু’ভাগে বিভক্ত করেছে শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া লাচ্চি নদী। এ নদীটি মিলত হয়েছে টাঙ্গন নদীর সাথে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে লাচ্চি নদীর পুন:খননের কাজ উদ্বোধন করে পাউবো। কিন্তু খনন কাজ শুরু হয় এ বছরের জানুয়ারিতে। কুশারীগাঁও থেকে টাঙ্গন নদীর সাথে মিলিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার লাচ্চি নদী খননে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। 

ইতোমধ্যে ৫ মাসে এ নদীর খনন কাজ ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। কিন্তু কাজে সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী ও খোদ পীরগঞ্জ পৌর সভার মেয়র কসিরুল আলম বলেন,  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বারবার নকশা দেখতে চেয়েছি। কিন্তু তারা তা দেখায়নি, গরিমসি করছে। এসব পাড়ের বালু এবারের বর্ষায় ধুয়ে আবারো ভরাট হয়ে যাবে নদী। আর নকশা অনুযায়ী নদী খনন না হওয়ায় নদী সংকোচিত হয়ে ছোট হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। 

নির্মাণ শ্রমিক দরিমান বলেন, নদী পুনঃখনদের উদ্যোগ ভাল। কিন্তু নদী খনন করে যে বালু উঠছে তা দিয়েই দু-ধারে পাড় তৈরি হচ্ছে। এই বালুতে ঘাস দেওয়া হলেও তা মারা যাবে এবং নদীর পাড় ভেঙ্গে যাবে।  

তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলছেন, নদীর পাড় রক্ষায় ঘাস ও গাছপালা রোপন করা হবে। আর কাজ শুরু হয়েছে। নকশা অনুয়ায়ী শেষ করতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। পীরগঞ্জের লাচ্চি নদীর গভীরতা হবে ১ দশমিক ৫ মিটার, আর প্রস্থ হবে ১০ মিটার। এছাড়াও হরিপুর উপজেলার যমুনা খাল খনন হচ্ছে। সেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। 

নদীতে সারা বছর পানি ধরে রাখা, মাছ চাষসহ জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব রোধে ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন, শুক ও লাচ্চি নদী এবং যমুনা খাল পুন:খননের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে  ৩৫ কোটি ৮২ লাখ  টাকা। এই কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর