সিলেট সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিল বোর্ড বাবদ শত কোটি বকেয়া আদায়ে নেমেছে সিসিক টিম। বৃস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
অভিযানের অংশ হিসেবে জিন্দাবাজারের বিভিন্ন মার্কেটে অপরিশোধিত বকেয়া বিল উদ্ধারে নামেন মেয়র আরিফ। জিন্দাবাজার এলাকার মধুবন সুপার মার্কেট, সমবায় ভবন, সবুজ বিপনীসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটের দোকানে মেয়র আরিফের নেতৃত্বে অভিযান চালায় সিসিকের প্রধান প্রকোশলী নূর আজিজুর রহমানের টিম। এ সময় বিভিন্ন গ্রাহক এবং প্রতিষ্ঠানকে বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধে হুশিয়ারি করা হয় এবং দোকানের বকেয়া বিল বাকী থাকায় নগদ ১০ হাজার টাকা ও চেকে প্রায় ১ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
সিসিকের বকেয়া বিল জমতে জমতে পরিমাণ এখন পাহাড়সম-প্রায় ১০০কোটি টাকা। বকেয়া বিল আদায়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে তিনটি কমিটি। একটি কমিটির দ্বায়িত্বে আছেন সিসিকের সচিব মো. বদরুল হক, আরেকটিতে সিসিকের প্রধান প্রকোশলী নূর আজিজুর রহমান আর অন্যটিতে নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর।
অভিযান পরিচালনাকালে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিল না দেওয়া ও বিল আদায় না করা আমাদের অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। এ অভ্যাস আমাদের পরিত্যাগ করতে হবে। সিলেট সিটি করপোরেশন বা অন্য কোনো প্রতিষ্টান থেকে সেবা নিলে সে বেসার বিল সময়মত পরিশোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাতে এতো বিশাল পরিমাণ বকেয়া থাকার কারণে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। নগরবাসী নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ করলে আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারব।
তিনি জানান এর আগেও বারবার কঠোর হুশীয়ারী দেওয়া সত্বেও অনেকেই বকেয়া বিল পরিশোধ করেননি। আর তাই বাধ্য হয়েই অভিযানে নেমেছেন তিনি। তিন জানান, দ্রুত বকেয়া বিল পরিশোধ করা না হলে এখন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাসহ বকেয়া বিল আদায় করা হবে।
সিসিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তিনটি টিম গঠন করা হয়েছে। এ অভিযান পর্যায়ক্রমে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে এ পরিচালনা করা হবে।
সিসিক সুত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরে গ্রাহকদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিল বোর্ড বাবত বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বার বার নোটিশ প্রদান সত্বেও বিল পরিশোধ না করায় বকেয়া আদায়ে পুরোদস্তর মাঠে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। বকেয়া বিল আদায়ে গঠন করা হয়েছে সিসিকের তিনটি টিম।
সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাত হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৭কোটি টাকা, পানির বিলের বকেয়ার পরিমাণ ১২ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবত বকেয়ার পরিমাণ ২০ কোটি টাকা এবং বিল বোর্ড বাবত বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি টাকা। সিসিকের আয়ের এই চারটি মূল খাতেই বকেয়ার পরিমাণ ১০০কোটি তাকা হওয়ায় বকেয়া আদায়ে কঠোর হচ্ছে সিসিক।
বিডি প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি ২০১৯/আরাফাত