সিলেটে দু’দিন থেকে কমতে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় এক জনের শরীরে শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। গত বুধবারও সিলেট বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল আগের দিনগুলোর তুলনায় অনেকটা কম। ওই দিন সিলেটের দুই জন ও হবিগঞ্জের একজনের শরীরে ধরা পড়ে করোনা। বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমতে শুরু করায় আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, আরেকটু ধৈর্য ধারণ করে সবাইকে ঘরে অবস্থান করলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
জানা গেছে, গত পহেলা মে একদিনেই সিলেট বিভাগে ১১৫ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছিল করোনা। পূর্বে ঢাকায় পাঠানো ১১ শ’ ৩৩টি নমুনার ফলাফলে ওই দিন বিভাগের ৯৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। আর ওই দিন সিলেট সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবেও পরীক্ষিত নমুনায় ১৬ জনের শরীরে পাওয়া যায় করোনার অস্তিত্ব।
এছাড়া গেল ৩ মে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪ জনের শরীরে ধরা পড়ে মরণব্যাধি করোনা। আর ৪ মে ৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হলেও পরদিন ৫ মে একদিনেই আবার রোগীর সংখ্যায় বেড়ে যায়। ওই দিন সিলেট বিভাগের ১২ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছিল করোনাভাইরাস। ৬ মে (বুধবার) করোনা শনাক্তের সংখ্যা কমে যায় অনেকটা। ওই দিন ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষার পর ৩ জনের শরীরে পাওয়া যায় করোনার অস্তিত্ব।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তন্মধ্যে ১ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এটিই চলতি মে মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রোগীর সংখ্যা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ মে) পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা রোগী পাওয়া গেছে ২৬১ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৭৯, সুনামগঞ্জে ৫৭, হবিগঞ্জে ৯০ ও মৌলভীবাজার জেলায় ৩৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, দেশের অন্যান্য জায়গায় যেভাবে করোনা দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে, সিলেট বিভাগে এর তুলনায় অনেকটা কম। যদিও মাঝখানে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে একসাথে অনেক লোক আসায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল। তিনি বলেন, সিলেট বিভাগের লোকজন আরও কিছু দিন নিয়ম মেনে চললে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে। এজন্য সবাইকে আরো বেশি করে সচেতন থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪ জন। এর মধ্যে সিলেটে ১, হবিগঞ্জে ১ ও মৌলভীবাজারে ২ জন। তবে সুনামগঞ্জে এ পর্যন্ত করোনায় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন