কক্সবাজারের টেকনাফে করোনায় আক্রান্ত প্রথম নারী চিকিৎসক ও রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত ২৫ এপ্রিল টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নাঈমা সিফাত (২৮) নামে এক নারী চিকিৎসক আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। সর্বশেষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধাপে ধাপে ৩ বার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা নেগেটিভ ফলাফল আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেন।
বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল।
ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নারী ডাক্তার নাঈমা সিফাতের গত ২৫ এপ্রিল করোনাভাইরাস জীবাণু শনাক্ত হওয়ার পর প্রথম ৪ দিন টেকনাফের চিকিৎসক কোয়ার্টারে সেল্ফ আইসোলেশনে ছিলেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৩০ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে ধাপে ধাপে ৩ বার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা রিপোর্ট ৩ বারই নেগেটিভ আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বাড়ি ফিরার অনুমতি দেন। বর্তমানে তিনি তার স্বামীর সাথে চট্টগ্রাম শহরে পাঁচলাইশ বাড়িতে আছেন এবং সুস্থ আছেন।
এছাড়া অপরদিকে টেকনাফের প্রথম করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মোহাম্মদ হোসেন।
গত ১৯ এপ্রিল আম ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোসন ঢাকা কারওয়ান বাজার থেকে ফেরত এসে প্রথম করোনা রোগে আক্রান্ত হয়। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তাকে আইসোলেশনে পাঠায়।
আজ শুক্রবার তিনি ১৭ দিন পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম