ডিভিডেন্ড অনুমোদনে বিশেষ চমক দেখিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব রূপালী ব্যাংক। রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে ২০১৭ সালের জন্য প্রতিষ্ঠানটির ২৪ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছেন ব্যাংকটির শেয়ার হোল্ডাররা। ব্যাংকিং খাতে যখন নানা সমালোচনা চলছে তখন সারা বছরই ইতিবাচক আলোচনায় ছিল ব্যাংকটি। তাই ব্যাংকটিকে ঘিরে আকাশচুম্বি প্রত্যাশাও ছিল বিনিয়োগকারীদের। সেই প্রত্যাশা পূরণে সফল হয়েছে ব্যাংকটি।
এজিএমে সভাপতির বক্তব্যে রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন বলেন, বছরের শুরুতে ব্যাংকটি ৪৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিচালন মুনাফা করে। লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় যোগ হয় প্রায় ৫৪৩ কোটি টাকা। চলতি বছরে রূপালী ব্যাংক ৭২'র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া লোগোতে ফিরে যায়। খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর অবস্থানে যায় ব্যাংকটি। শীর্ষ ২০ খেলাপি থেকে আদায়ে মনোযোগী হয় প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে শতভাগ অটোমেশনের আওতায় এসেছে রূপালী ব্যাংক।
তিনি তার বক্তব্যে ২০১৭ সালের সাফল্যের জন্য পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শেয়ার হোল্ডার, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার আহমেদ, ব্যাংকের পরিচালক অরিজিৎ চৌধুরী, দীনা আহসান, মহিউদ্দিন ফারুকী, আবু সুফিয়ান, একেএম দেলোয়ার হোসেন,এফসিএমএ, মো. রিজওয়ানুল হুদা, অধ্যাপক ড. সুশীল রঞ্জন হাওলাদার, মো. আবদুল বাছেত খান।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকসমূহের মধ্যে রূপালী ব্যাংকই সর্বপ্রথম সকল সেবা অনলাইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।
ব্যাংকের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রূপালী ব্যাংকের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এ পাঠানোকে বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা বলে অভিহিত করেন। আর এই সব অর্জন সম্ভব হয়েছে যোগ্য পরিচালনা পর্ষদের কারণে।
তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
পরিচালক এ কে এম দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদ কখনো কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করে না। তিনি বলেন, রূপালী ব্যাংক বর্তমান চেয়ারম্যান ও পর্ষদের নেতৃত্বে শীর্ষে যাবে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার আহমেদ বলেন, ব্যাংকটিকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে। তিনি ব্যাংকের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় রূপালী ব্যাংক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯১ শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে রয়েছে। এজিএমে অন্যান্যদের মধ্যে শেয়ার হোল্ডারগণ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোরশেদ আলম খন্দকার, কামরুজ্জামান চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপকবৃন্দসহ ব্যাংকের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম