করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখতে দেশের সবচেয়ে বড় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ প্রশাসন। খাদ্য সহায়তা চেয়ে সাময়িক বন্ধের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
বন্ধ ঘোষণার পূর্বে যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ৩৫ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়েছেন তিনি।
দৌলতদিয়া যৌনকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই পল্লীতে প্রায় ১৩০০ যৌনকর্মীকে ঘিরে প্রায় ৫ হাজর মানুষ বসবাস করে। করোনা আতঙ্কে এরই মাঝে পল্লীতে খদ্দেরের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তবে পল্লীতে এখানো প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজারের মতো মানুষের আনাগোনা রয়েছে। খাদ্য সহায়তা দিয়ে এবং বাড়ি ভাড়া বন্ধ রেখে যদি সাময়িকভাবে যৌনপল্লীটি বন্ধ রাখা যায় তবে সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান জানান, করোনা আতঙ্কে যৌনপল্লীতে কম খদ্দের আসার বিষয়টি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত পল্লীতে খদ্দের আসার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিধান্ত নেওয়া হয়নি।
শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ইতমধ্যে আমরা সব ধরনের জনসমাবেশ বন্ধ ঘোষণা করেছি। যৌনপল্লীতে অবাধে এখনো মানুষের যাতাযাত রয়েছে। জনসমাগম বন্ধ করতে না পারলে এই পল্লীর মানুষসহ অনেকেই ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। চাউলের বরাদ্দ পেলেই ১৫ দিনের জন্য সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হবে যৌনপল্লীটি। এ সময় যৌনকর্মীদের বাড়ি ভাড়া যাতে দিতে না হয় সে ব্যাপারে বাড়ির মালিকদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল