কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিন যাবত করোনা সংক্রমণ রোধে খাদ্যের দোকান ও ওষুধের দোকান ছাড়া প্রায় সব দোকান বন্ধ রয়েছে। কাজ কর্ম করতে পারছেনা শ্রমজীবী মানুষ। যারা দিন আনে, দিন খায়, তাদের এখন দৈন্যদশা। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত ৫ দিন যাবত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় নিম্ন আয়ের এসব মানুষজন পড়েছে বিপাকে।
রাস্তায় মানুষের চলাচল নেই, ফলে পেটের দায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসা বিশেষ করে রিকশাওয়ালা ও পরিবহণ শ্রমিকরা এখন চরম বিপাকে। তাদের দাবি ঘরে বসে থাকলে পেটে ভাত যাবেনা, পরিবার ও সন্তানকে কি খাওয়াবেন তারা।
হলোখানা ইউনিয়নের বাসিন্দা শ্রমিক ময়নাল হোসেন জানান, হামার দিকে কাইয়ো তাকায়না। বাড়িত যদি বসি থাকি তাইলে বউয়ের গাইল শোনা লাগে। পেটত নাই ভাত ক্যামনে বাড়িত বসি থাকি। তাই পেটের দাহে ঠেলা নিয়ে আসছি। এলাও কোনো কামাই হয় নাই।
অন্যদিকে মোগলবাসা ইউনিয়নের জামাল মিয়া জানায়, দুইদিন আগে যে কয়টাকা কামাই করছি তাহে দিয়া এই কয়দিন চলিল। এ্যালা কি খামো? কামাই তো বন্ধ। বাড়িত বসি থাকার কথা আইনের লোক কইছে। এ্যালা কি করম? ভাবি পাইনা। হামাক তো সাহায্য কাইয়ো দিচ্ছেনা। এলাকার মেম্বরক কছি। তাই একটা আইডি কাড দিবার কইছে তাক আইজ দিছি। কুনদিন যে কি পামো তাক কবার পাইনা। কিন্তু এসব মানুষের অভিযোগ সরকারি সহায়তা না পাওয়ার।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলায় ১৯৬ মে. টন খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, আলু ও তেলসহ খাবার প্রদান করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও কুড়িগ্রাম পৌরসভাসহ জেলার ৩ পৌরসভায় আলাদাভাবে আরো শিগগির ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন