রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে জেকে বসছে শীত। উত্তরের প্রতিটি জেলায় হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের সংখা গড়ে ২ লাখের ওপর। ১৬ জেলায় ৩২ লাখের বেশি হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে। অথচ বরাদ্দ এসেছে ১০ লাখের কিছু উপরে। এসব শীতার্ত মানুষের পাশে এখন পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে এগিয়ে আসেনি। সচেতন মহলের দাবি শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো এখনই এগিয়ে না এলে শীত মোকাবেলা কঠিন হয়ে পড়বে।
শীতজনিত রোগবালাই আরো বাড়বে বলে এমনটা শঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগে পড়বে সবচেয়ে বেশি। তবে শীত মোকাবেলায় প্রতিটি জেলায় গড়ে ৫৮ হাজার শীত বস্ত্র বরাদ্দ এসেছে। ওই সব বস্ত্র ইউনিয়নগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি জেলায় যে পরিমান শীত বস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছিল তার বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে চাহিদার তুলনায় কম। প্রতিটি জেলায় স্থানীয় ভাবে গড় চাহিদা ২ লাখ পিছ শীতবস্ত্র। এর বিপরিতে বরাদ্দ এসেছে সরকারি ভাবে ৫০ থেকে ৫৮ হাজার পিছ। এসব শীতবস্ত্র ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আবাহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ অঞ্চলে শীত হানা দিতে শুরু করেছে গত এক সপ্তাহ থেকে। অন্য যে কোন বছরের তুলনায় এবার শীতের তীব্রতা অনেক বেশি হবে এমনটাই শঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত কয়েকদিন থেকে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। সেই সাথে কিছুটা হিমেল হাওয়াও বইছে।
রংপুর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন জানান, সকারিভাবে ৫৮ হাজার কম্বল ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে পাঠানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল