মনে করা হয়ে থাকে টুইটারের কল্যাণেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই ট্রাম্পের কারণেই মার্কিনবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন টুইটারের সহ প্রতিষ্ঠাতা ইভান উইলিয়ামস। টুইটার না থাকলে প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। সেই প্রেক্ষিতেই ক্ষমা চেয়েছেন ইভান।
বর্তমানে টুইটারের বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের সদস্য ইভান উইলিয়ামস। মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইসম’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘সবাই মন খুলে কথা বলতে পারলে, একে অপরের সঙ্গে চিন্তা ভাবনা ভাগাভাগি করে নিতে পারলে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু আদতে তা হয়নি। টুইটার এবং ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহারে বরং সমাজের ক্ষতিই হয়েছে। সাইবার হেনস্থা, লাইভ ক্যামেরায় হিংস্র ঘটনা, ভুয়ো খবর এবং অবশ্যই ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পিছনে যদি টুইটারের ভূমিকা থাকে তাহলে সত্যিই আমি দুঃখিত। সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগে থেকেই টুইটারে রীতিমতো সক্রিয় ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারে নেমে টুইটারে নিজের জনপ্রিয়তাকে পুরোদস্তুর কাজেও লাগিয়েছিলেন তিনি। ১৪০ শব্দ বেঁধে দেওয়া থাকলেও, প্রতিপক্ষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি কখনও। তার জয়ের পিছনে সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে টুইটার যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সম্প্রতি তা মেনেও নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১০