রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল ছেলেটা। চোখে কালো কাপড় বাঁধা। সামনে রাখা প্ল্যাকার্ড। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমি একজন মুসলিম আর আমি তোমায় বিশ্বাস করি। তুমি কি বিশ্বাস করে আমায় আলিঙ্গন করতে পারো?’
সাহস করেই কথাটা লিখেছিলেন বকতাশ নুরি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ম্যানচেস্টারে জঙ্গি হামলার পর তার পদক্ষেপে সাহসীকতারই পরিচয় পাওয়া যায়। কারণ হামলাস্থলের অদূরে দাঁড়িয়েই এই সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছিলেন মুসলিম যুবক। ভেবেছিলেন সাড়া মিলবে না। কিন্তু ভুল ভাঙল তার। যখন প্রথম ব্যক্তি সাদরে গ্রহণ করলেন তার এই জীবনের বার্তা। সেখানেই থেমে থাকেনি, একের পর এক মানুষ এগিয়ে আসেন। আলিঙ্গন করে নেন এই শান্তির দূতকে।
ম্যানচেস্টারেই বাস করেন বকতাশ। ভিডিও ব্লগারের কাজ করেন তিনি। আরিয়ানা গ্রান্দের কনসার্টের নৃশংস হামলার ঘটনা ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল তাকেও। ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। এরপরই কিছু মহলে সন্ত্রাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। যা কানে যায় প্রবাসী মুসলিম যুবকেরও।
ম্যাঞ্চেস্টারের বাকি মানুষও কি তাই ভাবেন কিনা এই প্রশ্নই জেগেছিল তার মনে। সে কারণেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুসলিম যুবক। যাতে সাড়া পেয়ে অভিভূত তিনি। তিনি জানালেন, এখনও মনুষত্ব হারিয়ে যায়নি। আর এর জোরেই টিকে থাকবে পৃথিবী। কিছু মানুষের জিহাদের নামে রক্তক্ষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জয় হবে ভালবাসারই।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৬