প্রানীদের মধ্যে মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বা প্রভুভক্ত হল গিয়ে কুকুর। কিন্তু পথের ধারে যখন সে বসে থাকে বা একটু খাবারের সন্ধানে ঢুঁ মারে, তখন বড় মায়া লাগে। অনেকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাড়িয়ে দেয় রাস্তার কুকুরদের। কিন্তু একটু খাবার আর আদর পেলে আর কিছুই চাই না তাদের। মানুষের এই পরম বন্ধু কুকুরও যে প্রয়োজন পড়লে অনেক বাহাদুরি দেখাতে পারে তারই প্রমাণ মিলল ভারতের সাম্বালে। রাস্তার একটি কুকুরই কি না সেনাঘাঁটিতে জঙ্গিদের হামলার ছক বানচাল করে দিল।
জানা গেছে, তখনও ভোরের আলো ফোটেনি৷ নিস্তব্ধ সিআরপিএফ ক্যাম্প। অধিকাংশ সেনারাই তখন ঘুমিয়ে পড়েছেন। জেগে আছেন শুধু রাইফেল হাতে কয়েকজন রক্ষী। তখনই অন্ধকারে গুটিগুটি পায়ে সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে এগিয়ে আসে চার জঙ্গি। উদ্দেশ্য, অতর্কিতে হামলা চালিয়ে সেনাদের হত্যা করা ও সেনাঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া। তবে তাদের পরিকল্পনায় বাধ সাধে একটি রাস্তার কুকুর। কুকুরটিকে এই সেনারাই দয়া দেখিয়ে রাস্তা থেকে তুলে এনেছিলেন। জঙ্গিরা সেনাঘাঁটিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করতেই বিপদের গন্ধ পেয়ে প্রবল ভাবে ডেকে ওঠে প্রভুভক্ত কুকুরটি। তার ডাকেই সতর্ক হয়ে যায় প্রহরায় থাকা রক্ষীরা।
সেই রাতে প্রহরায় ছিলেন কনস্টেবল কে দীনেশ রাজা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, যে হটাৎ করে কুকুরটি ডেকে উঠায় সতর্ক হয়ে যান তারা। আর ঠিক তক্ষুনি শুরু হউ জঙ্গিদের গুলি বর্ষণ। কুকুরের ডাকে ভয় পেয়ে জঙ্গিরা গুলি চালিয়ে বসে আর তাতেই নজরে পড়ে যায় তারা। জঙ্গিদের দেখতে পেয়ে রাজা ও ওয়াচটাওয়ারে থাকা প্রফুল্ল কুমার নামের এক শেণা পাল্টা হামলা চালান।
প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চলা গুলির লড়াইয়ের পর নিহত হয় চার জঙ্গি। সিআরপিএফ কমান্ডেন্ট ইকবাল আহমেদ জানিয়েছেন, অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে হামলা চালাতে এসেছিল জঙ্গিরা। তবে জওয়ানদের সতর্কতার জন্য তাদের পরিকল্পনা বিফল হয়ে যায়।
সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৮ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১২