‘মঙ্গলেও যদি কেউ আটকে পড়েন তবে ভারতীয় দূতাবাস সেখানে পৌঁছে যাবে তাদের সহায়তার জন্য’। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের এই মজাদার মন্তব্যকে ঘিরেই এখন হাসাহাসি সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৃহস্পতিবার সকালেই করণ সাইনি নামে একটি ব্যক্তি মজা করে সুষমা স্বরাজকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘আমি মঙ্গলে আটকে পড়েছি। মঙ্গলযানে করে ৯৮৭ দিন আগে খাবার পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই খাবার শেষ। মঙ্গলযান-২ কি পাঠানো হচ্ছে?’
মজা করতে ছাড়েন নি সুষমাও। করণের ট্যুইটের পরই দেড় ঘন্টার মধ্যেই সুষমাও পাল্টা ট্যুইট করে জানান ‘এমনকি আপনি মঙ্গলে আটকে পড়লেও ভারতীয় দূতাবাস আপনাকে সাহায্য করার জন্য সেখানে পৌঁছে যাবে’। সুষমার এই পাল্টা ট্যুইটই এখন ভাইরায় হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই ট্যুইটের পরই সেটাকে রিট্যুইট করা হয় ২২০০ বার এবং এক ঘন্টার মধ্যে সেই ট্যুইটে লাইক পড়ে প্রায় ৪৫০০ টি।
যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এমন ধরনের মজা করার জন করণ সাইনির সমালোচনাও করেন কেউ কেউ। তাদের মধ্যে বিপদগ্রস্থতের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগকে এভাবে মজা করাটা কোনভাবেই উচিত নয়।
ভারতের মোদি মন্ত্রিসভায় ট্যুইটার, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় এই সিনিয়র মন্ত্রী। সম্প্রতি কিডনি সমস্যা নিয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময়েও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে। যোগাযোগ ছিল দেশ-বিদেশের বিভিন্ন খবরের সঙ্গেও। ভিসা, পাসপোর্ট, কিংবা ব্যাক্তিগত কোন সমস্যা নিয়ে সুষমার দৃষ্টিপাত করলেই পাল্টা ট্যুইট করে তাদের সমাধানের পথও বাতলে দিয়েছেন কিংবা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর এই উদ্যোগী ভূমিকার জন্য ট্যুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৮ মিলিয়ন।
অতি সম্প্রতি এক পাকিস্তানি ব্যক্তির নিজের ছোট্ট শিশুর চিকিৎসার জন্য ভারতের ভিসার প্রয়োজনের কথা জানার পরই ওই পাকিস্তানি ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করে ট্যুইট করে সুষমা জানান ‘না, এই শিশু কোনমতেই ভুগবে না। আপনি দয়া করে পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাকে মেডিকেল ভিসা দেবো’।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার