যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের বিরোধের পারদ ক্রমেই চড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতে সেটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, ইরানের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প মত বদলানোয় সেই হামলা প্রতিহত করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের বিরোধের সূত্রপাত ট্রাম্পের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে। একক সিদ্ধান্তে ইরান চুক্তি থেকে বের হয়ে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপর গত সপ্তাহে দু’টি তেলের ট্যাঙ্কারে আগুন লাগার ঘটনায় তেহরানের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ওয়াশিংটন। ইরান সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও কয়েকদিনের মধ্যেই জানায়, ২০১৫ সালের চুক্তিকে অস্বীকার করে ইউরেনিয়ামের ভাণ্ডার বাড়াচ্ছে তারা।
এই বাদানুবাদের মধ্যেই আমেরিকার বিমানসংস্থা ইউনাইটেড'র তরফে জানানো হল অনির্দিষ্টকালের জন্যে তারা মুম্বাই-নিউ ইয়র্কের নন-স্টপ নিয়মিত বিমান চলাচল বন্ধ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে ইরানের উপর দিয়ে (এই যাত্রাপথে পড়ছে পারশিয়ান গাল্ফ এবং গাল্ফ অফ ওমান) বিমান চালানোয় নিষেধাজ্ঞা জারির পরই এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় ইউনাইটেড।
ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কুয়ান্টাস, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ডাচ বিমানসংস্থা কেএলএম, এমিরেটস, লুফত্হানসা, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স জানিয়ে দিয়েছে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে তারাও বিমান চলাচলা করাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ