পারমাণবিক কর্মসূচী পরিত্যাগে রাজি করাতে উত্তর কোরিয়ারর প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার দাবি, আগে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
ফলে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি ট্রাম্প ও কিম। আলোচনা ফলপ্রসু না হলেও যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এই দুই নেতার মধ্যে।
তারা ব্যক্তিগত চিঠি আদান-প্রদান করছেন। সম্প্রতি মার্কিন ডোনাল্ট ট্রাম্প স্বীকার করেছেন যে, কিম তাকে একটি চিঠি লিখেছেন।
এবার কিমও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি ব্যক্তিগত চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেন।
ওই চিঠিকে চমৎকার বলে উল্লেখ করেছেন কিম জং উন। ওই চিঠির আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন বলেও জানিয়েছেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএর খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ট্রাম্পের অসাধারণ সাহসেরও প্রশংসাও করেছেন তিনি। চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে, কিমের কাছ থেকে একটি সুন্দর চিঠি পেয়েছেন তিনি।
তবে ট্রাম্পের চিঠি কখন এবং কীভাবে কিমের কাছে পৌঁছানো হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং কিমের বৈঠকটি কোনও সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা স্থগিত হয়ে আছে।
এই সময়ে চিঠি পাঠানোর বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামনের সপ্তাহেই সিওলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা ইনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার কিম জং উনের বিষয়ে আন্তরিক মনোভাব দেখিয়েছেন ট্রাম্প। এ মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ায় কিমের নেতৃত্বের বিষয়টি বিশেষভাবে অর্থবহ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম