কানাডায় সব ধরনের হ্যান্ডগান (অস্ত্র) বেচা-কেনা বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ লক্ষ্যে তার সরকার একটি নতুন আইনের প্রস্তাব করেছে, যাতে নাগরিকরা নিজেদের মালিকানায় শর্ট-ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন না। খবর রয়টার্সের।
খবরে বলা হয়, নতুন আইন বাস্তবায়িত হলে নাগরিকদের কাছে থাকা হ্যান্ডগানের মালিকানা সরাসরি নিষিদ্ধ হবে না। তবে, অস্ত্র কেনা বে-আইনি হয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এক স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ২১ জন নিহতের ঘটনার সপ্তাহখানেকের মধ্যে নতুন এ আইনের বিষয়ে জানালেন ট্রুডো। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) টরন্টোর স্কারবোরো এলাকায় এক বন্দুকধারীকে হত্যা করে পুলিশ। স্কুলের পাশে বন্দুক বহন করতে দেখে তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার পর পুলিশ গুলি চালালে ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের আতঙ্ক বা সমূহ বিপদ মোকাবিলায় ট্রুডো সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।
অস্ত্র বেচা-কেনা নতুন আইনটি সোমবার (৩০ মে) কানাডার পার্লামেন্টে তোলা হয়। প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে, এখন থেকে দেশের কোথাও হ্যান্ডগান কেনা, বিক্রি, হস্তান্তর বা আমদানি করা যাবে না। নতুন আইনে বন্দুক সংক্রান্ত খেলাধুলায় জড়িত শ্যুটার, অলিম্পিক অ্যাথলেট ও নিরাপত্তারক্ষীদের হ্যান্ডগান কেনায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। যাদের কাছে বর্তমানে পিস্তল, রিভলভারের মতো হ্যান্ডগান আছে, লাইসেন্সসহ তারা সেগুলো রাখতে পারবেন।
নতুন বিল কার্যকর হয়ে গেলে কানাডায় বৈধ মালিকানাধীন হ্যান্ডগানের সংখ্যাও সীমিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল