ইরানের হাতে আটক গ্রিসের দু’টি তেল ট্যাংকার ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফ্রান্স ও জার্মানি যে বিবৃতি দিয়েছে সেটি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। দেশটি জানিয়েছে, আমেরিকা যখন গ্রিসের উপকূল থেকে ইরানি তেল ট্যাংকারের তেল চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল তখন ফ্রান্স ও জার্মানি কথা বলেনি কেন?
এর আগে গত ২৪ মে গ্রিস সরকার দেশটির উপকূলে ইরানের একটি তেল ট্যাংকার আটক করে এটির তেল অন্য একটি জাহাজে সরিয়ে তা আমেরিকার হাতে তুলে দেয়। এর দু’দিন পর গত ২৬ মে ইরান পারস্য উপসাগর থেকে আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে গ্রিসের দু’টি তেল ট্যাংকার আটক করে।
ইরানের এ পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে ফ্রান্স এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ঘটনায় সমুদ্রে স্বাধীনভাবে জাহাজ চলাচলের আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। দেশটি গ্রিসের ট্যাংকারগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য তেহরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। জার্মানিও একই ধরনের বিবৃতি দিয়ে গ্রিসের ট্যাংকার ও এগুলোর নাবিকদের ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এ সম্পর্কে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, এ ধরনের একপেশে বিবৃতি প্রদান করা ফ্রান্স ও জার্মানির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে; কাজেই আমরা তা কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি বলেন, দুঃখজনক ভাবে বিবৃতি সর্বস্ব এই দুই দেশ গ্রিসের উপকূল থেকে ইরানের তেল ডাকাতি করে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়ার সময় নীরবতা অবলম্বন করেছে।
খাতিবজাদে বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতি দিয়ে সমস্যার কোনো সুরাহা করা যাবে না। আমরা গ্রিসকেও যেমনটি বলেছি, পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কূটনৈতিক উপায়ে আলোচনার মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। সূত্র : পার্সটুডে/ফারস নিউজ
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর