গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার ৪৯৪ রানের জবাবে তৃতীয় দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দিনের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি সফরকারীদের। ১৯২ রানে ৬ উইকেট হারায় টাইগাররা। কিন্তু এরপর মুশফিকুর রহিম সবোর্চ্চ ৮৫ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৪১ রান দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখালেও শেষ রক্ষা হলো না বাংলাদেশ।
আজ সকালে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে মুশফিকের দল। দিনের তৃতীয় ওভারে সুরঙ্গা লাকমলের বলে পুল করতে গিয়ে আউট হন সৌম্য। বাংলাদেশের রান তখন ১৪২। এর পর উইকেটে কিছুটা টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে থাকেন সাকিব আল হাসান। ফলটাও পেয়ে যান হাতেনাতেই। সানদাকানের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক নিরোশান দিকওয়ালার ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ১৯ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৩ করেন তিনি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এর পর মাত্র ৮ রান করে কুমারার বলে বোল্ড হন মিডল অর্ডারের স্তম্ভ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাঠে এসে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাশও কোনো অবদান রাখতে পারেননি। মাত্র ৫ রান করে লিটন দাসও ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। অভিজ্ঞ ও সেট ব্যাটসম্যানরা একের পর এক ফিরে যাওয়ার পর ফলোঅনে পড়ার শঙ্কা দেখা দেয় বাংলাদেশ শিবিরে।
তবে, ঘুরে দাঁড়ান মুশফিক-মিরাজ জুটি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১০৬ রান যোগ করে বাংলাদেশের ফলোঅন ঠেকান এ দুজন। ৯১তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪১ রানে পেরেরার বলে এলবির ফাঁদে পড়েন মিরাজ। পরের বলেই তাসকিন এলবির ফাঁদে পড়েন। দারুণ খেলতে থাকা মুশফিক জুটির অভাবে কিছুটা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। পরে হেরাথের বলে ব্যক্তিগত ৮৫ রানে বোল্ড হন তিনি। বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মোস্তাফিজুর রহমান। চা-বিরতি থেকে ফিরে মাত্র দুটি বলই খেলতে পারে সফরকারীরা। রঙ্গনা হেরাথের তৃতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৪ রানে বিদায় নেন তিনি। শুভাষিশ শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে দ্বিতীয় দিন শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আর ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তামিম-সৌম্য মিলে গড়েন ১১৮ রানের জুটি।
তবে দারুণ খেলতে থাকা তামিম ১১২ বলে ৫৭ রান করে হাস্যকর এক রান আউটে ক্রিজ ছাড়েন। তার আউটের পর উইকেটে থিতু হতে পারেননি মুমিনুল হকও। এসে মাত্র ৭ রান করে দিলরুয়ান পেরেরার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে দ্বিতীয় দিনের বাকি সময়টা আর কোনো ভুল হতে দেননি সৌম্য ও মুশফিকুর রহিম।