জয়পুরহাট জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা কলেজ পরিচালনা অ্যাডহক কমিটিতে থাকতে চাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা কলেজ গিয়ে অধ্যক্ষদের কাছে নেতাদের নাম তালিকা দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএনপির নেতারা যে তিনটি কলেজের অ্যাডহক কমিটতে থাকতে চাচ্ছেন সেই তিনটি কলেজ হচ্ছে জয়পুরহাটের মঙ্গলবাড়ী এম এম ডিগ্রি কলেজ, জয়পুরহাট শহীদ জিয়া কলেজ ও জয়পুরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজে।
ওই তিনটি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফয়সল আলীম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল ওহাব, সদস্য মতিয়র রহমান, অধ্যক্ষ আলী হাসান মুক্তা, জেলা তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, জেলা যুব দলের আহবায়ক এটিএম শাহনেওয়াজ কবীর শুভ্রসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা ওই তিনটি কলেজে যান। তারা কলেজের অধ্যক্ষদের অ্যাডহক কমিটিতে বিএনপির নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে তালিকা দেন। এ সময় অধ্যক্ষেরা অ্যাডহক কমিটির তালিকা আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর কথা জানান। তখন বিএনপির নেতারা তাদের দেওয়া তালিকার ফরওয়াডিং করতে অনুরোধ করেন।
মঙ্গলবাড়ী এম এম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মারুফা মন্ডল বলেন, বিএনপির নেতারা আমাদের কলেজে এসেছিলেন। তারা জেলা বিএনপির সদস্য আলী হাসান মুক্তার নাম দিতে চাপ দেন। এক মাস আগেই আমরা পাঁচ সদস্যের অ্যাডহক কমিটির নাম পাঠিয়েছি। এখন আর নাম পাঠানোর সুযোগ নেই। আজকে আবার নাম পাঠাতে চাপ দেন।
জয়পুরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজে আবদুল মুমিন মন্ডল বলেন, কলেজের এডহক কমিটিতে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এটিএম শাহনেওয়াজ কবির শুভ্রসহ তিন জনের নাম পাঠাতে চাপ দিচ্ছেন বিএনপির নেতারা।
জয়পুরহাট মহাবিদ্যালয়ের (সাবেক জিয়া কলেজ) অধ্যক্ষ সওদাগর মোঃ সালেহ উদ্দিন হিরো বলেন, বিএনপির নেতারা সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছিলেন। তবে অ্যাডহক কমিটিতে বিএনপি নেতাদের নাম দেওয়া প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা আব্দুল ওহাব বলেন, অ্যাডহক কমিটিতে আমাদের লোকজনদের রাখা যায় কি না তা নিয়ে কথা বলে গিয়েছিলাম।
জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলজার হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ