মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছে এমন খবর আসার পর বাংলাদেশ সরকারের দিক থেকে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের উদ্যোগের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান গত শুক্রবার ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় এ ইঙ্গিত দিয়েছেন।
গতকাল বিবিসি বাংলাকে ড. খলিলুর বলেছেন, “আরাকানের পরিস্থিতি তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে কি না, তা নিয়ে ‘সুচিন্তিত’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘নেপিদো সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। সে কারণে চলমান পরিস্থিতি ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উভয় দিক বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশকে এগোতে হবে।’
বিবিসি জানায়, থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী গতকাল শনিবার তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের পুরো সীমান্তই এখন আরাকান আর্মির দখলে। মূলত ১১ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই প্রথম মিয়ানমারের পুরো একটি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এরপরই বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদীর মিয়ানমারের অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আরাকান আর্মি। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহল থেকে আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ করার প্রসঙ্গটি আলোচনায় উঠে আসে।