হাটিকুমরুল-এলেঙ্গা-রংপুর চারলেন সড়কে চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই। নির্মাণাধীন মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দক আর নির্মাণ সামগ্রীর বিশাল স্তূপের কারণে দিনে-রাতে যানবাহন চলাচলে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এছাড়াও বন্দর এলাকায় মহাসড়কে ট্রাক-বাস অবৈধভাবে রাখায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। অপরদিকে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। এসব কারণে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের মহাসড়কে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
জানা যায়, সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্প-২ এর আওতায় ২০১৯ সালের মার্চে ফোরলেন সড়কের কাজ শুরু হয়। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে রাস্তা নির্মান প্রায় সম্পন্ন।
কিন্তু বগুড়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে যান চলাচলে ২১টি আন্ডারপাস খুলে দিলেও চলাচলকারী মানুষরা ঝুঁকি নিয়ে ফিরছেন বাড়ি। ফোরলেন প্রকল্পে বগুড়া অংশে ৬৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নসহ কাজের গতি নেই। বিশেষ করে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে ফোরলেন সড়কের কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এদিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ অংশের কাজ দ্রুত এগিয়ে চললেও বগুড়া অংশে নির্মাণাধীন এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দের কারণে যান চলাচলে বাধা পেতে হচ্ছে। প্রতিদিনই তীব্র যানজট লেগে থাকছে। বগুড়া শহরের ছিলিমপুর শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ওভারপাসটির কাজ চলমান। এখানে সড়কের মাঝখানে নির্মান সামগ্রী স্তূপ করে রাখায় চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। এ কারণে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ওভারপাসের নীচে খানাখন্দের কারণে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে জনদুর্ভোগ নিত্যদিনের।
সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী ও গাড়িচালকরা জানান, মহাসড়কের বেশ কিছু স্থানে গর্ত এবং নির্মান সামগ্রী রাখায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন।
এই চারলেন সড়ক দিয়ে ঢাকা-বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। যাতায়াতের সময় হাজার হাজার মানুষের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক