মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের সিংপাড়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয়ে চারদিন বাড়িতে রাখার পর ঢাকা থেকে লোক এনে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ইনজেকশন পুশ করে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী নারীর নাম দিপা খন্দকার (৪০)। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গর্ভপাত করাতে আসা টিমের এক নারী সদস্যকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার নারী ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিংপাড়ার বাসিন্দা রিপনের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল দীপা খন্দকারের। একপর্যায়ে ওই নারী গর্ভবতী হলে স্বামীর অধিকার চেয়ে অভিযুক্ত রিপনের সিংপাড়ার বাড়িতে আসেন। সেখানে চারদিন থাকার পর আজ মঙ্গলবার ঢাকা থেকে লোক নিয়ে এসে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। এ সময়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও জোরপূর্বক ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে বিকাল চারটার দিকে শ্রীনগর থানা পুলিশ ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে স্থানীয়রা জানান, আহত ওই নারী বিবাহিত পুরুষদের টার্গেট করে মোটা অংকের কাবিন দিয়ে বিয়ে করে পরে বিপদে ফেলে কাবিনের টাকা উত্তোলন করে। এর আগেও একাধিক বিয়ে ও কাবিনের টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
শ্রীনগর থানার এসআই মোহাম্মদ আরিফ সিদ্দিক বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই নারীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গর্ভপাতের বিষয়টি নিশ্চিত না হলেও ওই নারীর শরীরে নির্যাতনের আঘাত রয়েছে। তবে অভিযুক্ত রিপনকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই