রাষ্ট্র সংস্কারে প্রস্তাবিত ছয় কমিশনের মধ্যে পাঁচটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে গেজেট জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর গেজেট আকারে তা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি কমিটিতে একজন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। তবে গেজেটে অন্য সদস্যদের নাম উল্লেখ থাকলেও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ড. বদিউল আলম মজুমদারকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান করে গঠিত কমিশনে সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা, ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও ওপিনিয়ন মেকার সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান, শাসন প্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন, ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
সফর রাজ হোসেনকে প্রধান করে গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন- জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ মো. গোলাম রসুল, ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
বিচারপতি শাহ আবু নাইমকে প্রধান করে গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ও হাই কোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং মাজদার হোসেন বনাম রাষ্ট্র মামলার বাদী মাজদার হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট তানিম হোসেন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর কাজী মাহফুজুল হক (সুপন) এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
ড. ইফতেখারুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের বাকি সদস্য হলেন- সাবেক কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সোয়াস অধ্যাপক মোস্তাক খান, বার-এট-ল মাহদীন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। এবং আবদুল মুয়িদ চৌধুরীকে প্রধান করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বাকি সদস্য হলেন- সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. রিজওয়ান খায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এ ফিরোজ আহমেদ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। এই কমিশনগুলো ৩ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। এর আগে বিকালে পাঁচ সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত করার তথ্য জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, পাঁচটি কমিশন চূড়ান্ত হয়ে গেছে। একটি বাকি আছে। দু-এক দিনের ভিতর এটাও চূড়ান্ত হয়ে যাবে।