ইরানে হামলা নিয়ে ইসরায়েলের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইরানে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা থেকে পারমাণবিক স্থাপনা ও তেল পরিশোধনাগার বাদ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল এখন ইরানের শুধু সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করে হামলার কথা ভাবছে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। খবরে বলা হয়, ইরানে যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই হামলার ছক কষছেন। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক বা তেল স্থাপনায় আঘাত হানলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়ানো এক প্রকার অসম্ভব। তাই ইসরায়েলকে দমিয়ে রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। সেসব বৈঠকের সিদ্ধান্ত গোপন রাখে দেশ দুটি। কিন্তু তার পরেও জানা গেছে, বৈঠকে ইসরায়েল হোয়াইট হাউসকে এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে, ইরানের ওপর পরিকল্পিত প্রতিশোধমূলক হামলার যে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে তাতে পরমাণু বা তেল স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে না। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউসের কাছে অঙ্গীকার করে বলেছেন, শেষ পর্যন্ত তারা কেবল ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করার কথা ভেবেছে। এ হামলা হবে মধ্যম মাত্রার। এ ব্যাপারে বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতানিয়াহুর ‘মধ্যম মাত্রার’ হামলায় রাজি হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেেছ। কারণ ইরানের বিরুদ্ধে বড় মাত্রার সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। মূলত এ কারণেই নেতানিয়াহু ‘মধ্যম মাত্রার’ হামলায় রাজি হয়েছেন। যদিও শুরুতে তিনি পারমাণবিক স্থাপনা ও তেল পরিশোধনাগারে হামলার বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেছিলেন। জানা গেছে, নেতানিয়াহু নমনীয় হওয়ার কারণেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে একটি শক্তিশালী আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (থাড) এবং এর পরিচালনার জন্য ১০০ মার্কিন সেনা পাঠাতে রাজি হয়েছেন।
ইরানের হুঁশিয়ারি : ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামির উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি ইরানের বিরুদ্ধে যে কোনো বোকামিপূর্ণ কাজ করার বিরুদ্ধে আমেরিকাকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘মার্কিন জাহাজ, সামরিক ঘাঁটি এবং স্বার্থ আমাদের অস্ত্রের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
মার্কিনিদের জানা উচিত যে, তারা যদি একদিন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় তাহলে তাদের ঘাঁটি, স্বার্থ এবং জাহাজ আমাদের অস্ত্রের নাগালের মধ্যে থাকবে। আমাদের সাহসী এবং সক্ষম বাহিনী রয়েছে যারা অবশ্যই মার্কিনিদের যে কোনো সীমা লঙ্ঘনের জবাব দেবে।