সম্পূরক বৃত্তি বাস্তবায়ন ও জকসু নীতিমালা প্রণয়ন করে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষের সামনে চলছে শিক্ষার্থীদের ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং স্লোগান দেন— “আটটা টু আটটা, বাজায় কার ঘন্টা”, “ভিসি স্যার শুনছেন নাকি, আমরা এখানে বসে গেছি”, “জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার”, “বৃত্তি আমার অধিকার, মুখে দেওয়ার সাধ্য কার” ইত্যাদি।
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আমাদের সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরি হবে, কিন্তু এতদিনেও হচ্ছে না। তাহলে কিভাবে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে? সম্পূরক বৃত্তির জন্য আমরা রক্ত-ঘাম দিয়েছি, কিন্তু তা এখনো পূরণ হয়নি। জানতে চাই, কার গাফিলতিতে এটি হচ্ছে না?”
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা এখানেই অবস্থান নেব যতক্ষণ না দাবি আদায় হচ্ছে।”
শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার সুস্পষ্ট তারিখ আজই ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে জকসু নীতিমালা আজকের মধ্যে পাস করতে হবে, নতুবা আন্দোলন চলবে।”
শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, “আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন বন্ধ হবে না। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক