সাম্প্রতিক সংঘাত থামিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর পর আফগানিস্তানে আবারও বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
শুক্রবার রাতের দিকে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের একাধিক জায়গায় বিমান হামলার ঘটনা ঘটে।
আফগান বার্তা সংস্থা খামা প্রেসের প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তানের বিমান হামলায় আফগানিস্তানে ছয়জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান অনির্দিষ্টকালের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পাক সেনাদের এ হামলার পর পাল্টা হামলা শুরু করেছে আফগান সেনারাও। ধারণা করা হচ্ছে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
আফগান তালেবান সরকারের জাতীয় রেডিও এবং টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, পাকতিকার উরগুন এবং বারমাল বিভাগে পাকিস্তানের বিমান হামলায় একাধিক নারী ও শিশু নিহত হয়েছে।
খামা প্রেসকে ছয়জনের মৃত্যু ও সাতজন আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে পাকতিকার কমান্ডিং সেন্টার। তারা বলেছে, বিনা উসকানিতে পাকিস্তান নতুন করে আবারও আফগানিস্তানের ভৌগলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতের দিকে পাকিস্তানি ড্রোন আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করে।
এ হামলার আগে আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ ‘অনির্দিষ্টকালের যুদ্ধবিরতির’ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উসকানি না দিলে আফগানিস্তান আর কোনো হামলা চালাবে না। কিন্তু এ যুদ্ধবিরতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
পাকতিকার সরকারি কর্মকর্তারা জানান, এ হামলার পরই আফগান সেনারা সীমান্তে পাল্টা হামলা শুরু করে। এমনটি চলতে থাকলে এ দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘বিশ্বাসের অভাব’ রয়েছে। এতে করে দুই দেশ সংঘাতে জড়িয়েছে। তবে এতে অনেক সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছে, যা পরিস্থিতি খারাপ করে দিতে পারে।
সূত্র : খামা প্রেস
বিডি প্রতিদিন/কেএ