৪ আগস্ট, ২০২১ ১৭:৩১

বরিশালে ৩২৭ বুথে গণটিকার ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:

বরিশালে ৩২৭ বুথে গণটিকার ব্যবস্থা

বরিশাল জেলা এবং মহানগরীতে কোভিডের গণটিকা দেয়ার জন্য ১০৯টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০৯ কেন্দ্রে ৩টি করে মোট ৩২৭টি বুথে এই টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে ৪ দিন। এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে জেলার ৯টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩টি হাসপাতালে কোভিড টিকা দেয়ার নির্দেশনা আছে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার জন্য আগামী ৭ থেকে ১২ আগস্ট জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কোভিড টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এর অংশ হিসেবে ৮৫টি ইউনিয়নে ৩টি করে মোট ২৫৫টি বুথে টিকা দেয়া হবে। সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়সের যে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গেলে রেজিস্ট্রেশন করে তাকে টিকা দেয়া হবে। গর্ভবর্তী ও দুগ্ধদায়ী মা এবং করোনা আক্রান্তরা এই পর্যায়ে টিকা পাবেন না। ৪ দিনে গণটিকা পাওয়া ব্যক্তিদের ১ মাস পর আবার ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল হাজবুন জানান, নগরবাসীকে টিকা দেয়ার জন্য সিটি মেয়র আগেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী নগরীতে ২৪টি টিকা কেন্দ্রের ৭২টি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। আগামী ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ২৪ কেন্দ্রের ৭২টি কেন্দ্রে গণটিকা দেয়া হবে বলে তিনি জানান। 

সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন আরও জানান, দেশে বর্তমানে ৪ দেশে উৎপাদিত টিকা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ফাইজারের টিকা শুধুমাত্র ঢাকায় দেয়া হচ্ছে। অন্য ৩ দেশের উৎপাদিত এ্যাস্টাজেনেকার কোভিশিল্ড, মডার্না এবং সিনোফার্মার টিকা জেলা এবং মহানগরীর বাসিন্দাদের দেয়া হচ্ছে। তবে এ্যাস্টাজেনেকার টিকা আপাতত আর প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হবে না। যারা এ্যাস্টাজেনেকারর প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। 

বর্তমানে জেলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় আড়াই হাজার এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকা দেয়া হচ্ছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে। আজ পর্যন্ত জেলায় মজুদ ছিলো প্রায় ৬৫ হাজার ডোজ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় মজুদ ছিলো প্রায় ৭ হাজার ডোজ টিকা। 

প্রয়োজনীয় টিকা সরকারের তরফ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। 

এদিকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, উপসর্গহীন অনেক ব্যক্তি নিজের অজান্তে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের মাধ্যমে অন্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ কারনে করোনা প্রতিরোধের জন্য সবাইকে মাস্ক পরিধান ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি টিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর