রাজধানীতে উৎসবের আমেজে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন মুসলমানরা। রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত হয় শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আর বিচারপতিসহ সর্বস্তরের মানুষ সেখানে ঈদের নামাজের পর দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় মোনাজাতে হাত তোলেন। পাড়া-মহল্লার বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের নামজ হয় সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে।
ঈদ জামাত শেষে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন পশু কোরবানির তোড়জোড়ে। এবার ঢাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পশু জবাই করার জন্য আলাদা স্থান বেঁধে দেওয়া হয়নি। বরাবরের মতই নগরজুড়ে রাস্তা ও অলিগলিতে পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে।
ঢাকায় এ বছর প্রায় সাত লাখ পশু কোরবানি হতে পারে, তাতে ৫০ হাজার টনের মত বর্জ্য তৈরি হবে। সেভাবেই দ্রুততম সময়ে অপসারণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন প্রায় ২০ হাজার ২৬৭ পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ইতোমধ্যে তাদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
দ্রুত ও নির্ধারিত সময়ে বর্জ্য অপসারণে দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার প্লাস্টিক, পলিব্যাগ ও বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘ঈদের দিন বিকাল থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হবে। আশা করছি ১২ ঘণ্টার ভেতরে আমরা কোরবানির ময়লা পরিষ্কার করব। এই ময়লা পরিষ্কারের জন্য প্রায় ১০ হাজারের কর্মী আমরা প্রস্তুত রেখেছি। প্রস্তুত রয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি।’
ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ঈদে দিনের বর্জ্য দিনের মধ্যেই অপসারণ করে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের ৩ দিন এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে বরে ধারণা করছে ডিএনসিসি। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ২২৪টি ডাম্প ট্রাক, ৩৮১টি পিকআপ, ২৪টি পেলোডার নিয়োজিত থাকবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সাড়ে ১২ লাখ পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং ও চার হাজার ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন