ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সকল সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসির নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।
মঙ্গলবার বিকালে গুলশানস্থ ডিএনসিসি নগর ভবনে সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে ডিএনসিসির প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব। প্রশাসক হিসেবে যোগদান করে তিনি ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিএনসিসির সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে সভা করেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডিএনসিসির প্রশাসক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে ছাত্র-জনতার যে প্রত্যাশা সেটি পূরণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবো। ডিএনসিসি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবার পরিসর বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এসময় ডিএনসিসির কার্যক্রম পরিচালনায় জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হবে। খালের ময়লা পরিষ্কার করে ও অবৈধ দখলমুক্ত করে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ অন্যান্য সকল নৈমিত্তিক সেবাগুলো অব্যাহত রাখা হবে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ডিএনসিসির কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এখনো সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’
সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের সকল আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়মিতভাবেই নীরিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় চলে আসে। তাই যেকোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মতবিনিময়কালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী এবং প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই