সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলার চারটি গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন গত একশ বছর ধরে। এই ধারাবাহিকতায় এবারও তারা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে কোরবানি দিয়েছেন।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে দুই উপজেলার ওই চার গ্রামের ৯টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা পশু কোরবানি করেন।
গ্রামগুলো হলো—নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর এবং বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর।
মসজিদগুলো হলো—বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বসন্তবাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ি জামে মসজিদ, ফাজিলপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, লক্ষ্মীনারায়ণপুর দায়রা বাড়ি কাছারীঘর এবং হরিণারায়নপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফ।
জানা গেছে, এসব গ্রামের বাসিন্দারা কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী। তারা সুফি সাধক বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (রহ.)-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত। এই তরিকার অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সময় অনুসরণ করে রমজান, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার আমল করে থাকেন।
বসন্তবাগ গ্রামের মুসল্লিরা জানান, প্রতি বছর ঈদের সময় আমরা বাড়ি ফিরে আসি। আজকের জামাতে প্রায় ২০০ জন মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। শিশু-কিশোররা ঈদবাজারে কেনাকাটা করছে, আনন্দ ভাগাভাগি করছে। আমরা সকলে কোরবানি দিয়েছি, ঈদের আনন্দ উদযাপন করেছি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ