ত্রিপুরার আগরতলায় প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এক ইলেকট্রিশিয়ানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় একজন চিকিৎসক, তার বাবা-মা ও তিন সহযোগীসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম সরিফুল ইসলাম (২৪)। তিনি আগরতলা স্মার্ট সিটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ডা. দিবাকর সাহা (২৯) প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে সরিফুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। প্রেমঘটিত বিরোধের পেছনে ছিল একই নারীর প্রতি উভয়ের আগ্রহ।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ৮ জুন রাতে দিবাকর সাহার বাড়িতে উপহারের প্রলোভন দেখিয়ে সরিফুলকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল দিবাকর সাহার তিন সহযোগী— অনিমেষ যাদব (২১), নবনীৎ দাস (২৫) ও জয়দীপ দাস (২০)। পুলিশ ধারণা করছে, হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
ত্রিপুরার পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপার কিরণ কুমার জানান, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দিবাকর সাহা তার কাজিনের প্রেমে পড়েছিলেন। একই নারীর সঙ্গে সরিফুলের সম্পর্ক ছিল। এই প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বই হত্যার মূল কারণ।’’
হত্যার পর মরদেহ একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখা হয়। পরদিন ৯ জুন দিবাকর সাহার বাবা দীপক সাহা (৫২) ও মা দেবিকা সাহা গণ্ডাচের্রা থেকে গাড়ি নিয়ে এসে মরদেহ স্থানান্তরের কাজে সহায়তা করেন। এরপর মরদেহ গণ্ডাচের্রায় নেওয়া হয়।
এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৬ আসামি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কিরণ কুমার।
বিডি প্রতিদিন/আশিক