শিল্পে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে তিন ক্যাটাগরিতে। এর একটি হচ্ছে যেসব শিল্প-কারখানায় তিন দিনের মধ্যেই গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব। দ্বিতীয়ত যেখানে তিন মাসের মধ্যে সংযোগ দেওয়া যাবে আর তৃতীয়ত ছয় মাসের মধ্যে যেসব শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। গতকাল সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির সভাকক্ষে ‘দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা : চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পথ-গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস এবং খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শিল্পে গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে নতুন করে একটি ধারা যোগ করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন সংযোগ দেওয়া বা লোড বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিতরণকারী কোম্পানিকে অবশ্যই গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ শিল্পে গ্যাসের দাম বেশি। শিল্পে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে আমাদেরও সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এদের মধ্যে যেসব কারখানায় এখনই অর্থাৎ তিন দিনের মধ্যেই সংযোগ দেওয়া যাবে সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলা মিলে একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি স্বশরীরে গিয়ে এসব কারখানায় পরিদর্শন করছে। এর মধ্যে জালালাবাদ, কর্ণফুলী ও বাখরাবাদে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির গ্রাহকদের জন্য এ পরিদর্শন শেষ হয়েছে। তিতাসের ক্ষেত্রেও এ পরিদর্শন শিগগিরই শেষ হবে। আর এটি শেষ হলেই সংযোগ দেওয়া হবে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এই মুহূর্তে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এরই মধ্যে বাপেক্স দুটি ডিপ ড্রিলিংয়ের কাজ পেয়েছে। খুলনাতে পাঁচটি কূপের চুক্তি শিগগিরই হয়ে যাবে। গ্যাস প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জামালপুর নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম। কমপক্ষে ১০ এমএমসিএফডি গ্যাস পাব বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু আমরা পেলাম ৪ এমএমসিএফডির কিছু বেশি পরিমাণ গ্যাস। যা অর্থনৈতিকভাবে উত্তোলনের জন্য খুব একটা লাভবান নয়। তবে জামালপুরে গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি। আগামী মাসে ভোলায় নতুন ৫টি কূপ খননের জন্য চুক্তি করছি। বর্তমানে গ্যাসের সিস্টেম লস কমাতে যে অভিযানগুলো পরিচালিত হচ্ছে তা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এখন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোতে ২ ডিজিটের ওপর কোনো সিস্টেম লস নেই।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, জ্বালানির ক্ষেত্রে আমরা খুব সিরিয়াস অবস্থার মধ্যে আছি। জানি না আগামী ৬ মাসের মধ্যে কী হবে। বাপেক্সের যথেষ্ট জনবল নেই। আগামী তিন বছর দেশে পূর্ণমাত্রায় ড্রিলিং করতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে থেকে লোক এনে ড্রিল করা যেতে পারে।