২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ৬৪ হাজার ৮৭১ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরও এক লাখ ৬৪ হাজার ৬১০ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আরও বহু সংখ্যক মানুষ।
এদিকে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ হাজার ইসরায়েলি সেনাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যেসব সেনা মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিয়েছেন তাদের ৫৬ শতাংশই যুদ্ধের ভয়াবহতায় বিপর্যস্ত। আহতদের মধ্যে ৯ শতাংশ মাঝারি থেকে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত। ৫৬ সেনা একেবারে অক্ষম। অঙ্গচ্ছেদ হয়েছে এমন ৯৯ জনকে কৃত্রিম অঙ্গ দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগ জানিয়েছে, মোট ২০ হাজার সেনার ৪৫ শতাংশ শারীরিকভাবে আহত। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ পিটিএসডিতে (পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার) ভুগছেন। ২০ শতাংশ সেনা শারীরিক ও মানসিক দুই রোগেই ভুগছেন।
পুনর্বাসন বিভাগ আও জানিয়েছে, পূর্বের যুদ্ধে আহত ৮১ হাজার ৭০০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার মানসিক রোগে ভুগছেন। ২০২৮ সাল নাগাদ ওই সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুনর্বাসন বিভাগ জানিয়েছে, তাদের বাজেট ৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে যারা মানসিক রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য বাজেট ৪ দশমিক ১ শতাংশ। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/একেএ