যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া এলাকায় যশোর-নড়াইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী (৪৫), বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নিক্কন অঢ্য (৩৫) ও সদর উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকার আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (৪৭)।
তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, যশোর-নড়াইল মহাসড়কের ভাঙ্গুড়া বাজার এলাকায় বাঁশবোঝাই একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী নড়াইল এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটির পেছনে ধাক্কা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আবু জাফর ও নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত নিক্কন আঢ্যকে ঢাকায় স্থানান্তরের সময় নড়াইলে মারা যান।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুবায়ের আহমেদ জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই আবু জাফর মারা যান। আহত নিক্কনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
তুলারামপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। আর পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনের মরদেহ রয়েছে নড়াইল মর্গে। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, নিহত এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭তম ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছিলেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রে যোগদান করেন। এর আগে তিনি র্যাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। রবিবার মুন্সিগঞ্জ আদালতে সাক্ষী দিয়ে তিনি কর্মস্থলে ফিরছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ