রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, বহু গুজব রটেছে অমুকে এই কারসাজি করছে, তমুকে সেই কারসাজি করছে। অথচ প্রশাসনে ও নির্বাচন কমিশনে যারা আছি, তারা কারসাজির ক-ও বুঝি না।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে রাকসু কী-কেন শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন রাবি উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, হারলেই খেলা ভালো হয়নি, এমন আচরণের চেয়ে বাজে কিছু আর হয় না। নিশ্চিত করে বলতে পারি, সারাজীবনে আমি কোনো কারসাজি করিনি, ভবিষ্যতেও কোনো কারসাজির সঙ্গে যুক্ত হবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। কাজেই এ আস্থাটা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল দায়িত্ব লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠিত করা। এতে কে হারবে, কে জিতবে, কাদের কী মতাদর্শ-সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা চাই, ছাত্রছাত্রীরা যেন নির্ভয়ে তাদের মত প্রকাশ করতে পারে এবং ভোট দিতে পারে।
এ সময় প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান বলেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন হওয়ার পর রাকসু এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। ছাত্রদের দাবি-দাওয়াগুলো প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা বা চাপ প্রয়োগ করে দাবি আদায় করার জন্য রাকসু নির্বাচন অপরিহার্য। এছাড়া যারা সিনেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট, উপাচার্য নিয়োগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করবেন। আশা করি, সবাই মিলে আমরা একটি সুষ্ঠু-সুশৃঙ্খল নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান।
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দীন ও অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত