মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর নামে চুক্তি ভঙ্গ ও অনিয়মের মাধ্যমে ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ১৩টি ওভারসিজ কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, আসামিরা বায়রার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকালে সিন্ডিকেট করে রেজিস্ট্রেশনের শর্ত ভঙ্গ করেন। সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ বেশি অর্থ নিয়ে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো হয়। তারা অবৈধভাবে সংগৃহীত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর ও পাচার করেছেন। এতে কর্মীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন আকাশ ভ্রমণের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ কালাম; উইনার ওভারসিজ লিমিটেডের পরিচালক রহিমা হক ও মাহফুজুল হক; শাহীন ট্রাভেলসের মালিক শাহাদাত হোসাইন (তসলিম); নাভিরা লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ শাহিদুর রহমান, পরিচালক মাহবুবুর রহমান ও শামিম হাসান; আদিব এয়ার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের পরিচালক কে এম মোবারক উল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ, নওশাদ আরা আক্তার ও হাছনা আক্তার আজাদ; ইউনাইটেড ম্যানপাওয়ার কনসালট্যান্স লিমিটেডের পরিচালক নাজমা আক্তার, জেড ইউ সায়েদ, জুহানা সুবাইতা ও জিসান সায়েদ; গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজের মালিক রেহানা আরজুমান হাই; পি আর ওভারসিজ লিমিটেডের পরিচালক ইমান আকতার পুনম ও গোলাম রাকিব; জাহারত অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুল আলম ফিরোজ, পরিচালক নাহিদা আক্তার ও রওশন আরা পারভিন; অপূর্ব রিক্রুটিং এজেন্সির পরিচালক এ কে এম মোশারফ হোসেন ও মহিউদ্দিন আহমেদ; জান্নাত ওভারসিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল হালদার ভূঁইয়া, পরিচালক কাজী অদিতি রুবাইয়াত ও লিমা বেগম এবং মিডওয়ে ওভারসিজ লিমিটেড ও সাউথ পয়েন্ট ওভারসিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদের, পরিচালক সাদিয়া মঞ্জুর, আহমেদ আতাউর রহমান, আহমেদ খালেদ লুবনানী ও আহমেদ ফয়সাল রমাদানী।