বরিশালের হিজলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা এবং লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. রকিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হিজলা উপজেলার পূর্ব কোড়ালিয়া গ্রামের ইসরাফিল আকনের ছেলে কবির আকন ও একই গ্রামের মোসলেম বেপারীর ছেলে আ. জব্বার বেপারী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই সকালে মামার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ঐ তরুণী। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে পূর্ব কোড়ালিয়া গ্রামের শিলনিয়া খালে একটি গাছের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ ভাসতে দেখা যায়।
ঘটনার পর ৩০ জুলাই নিহত তরুণীর মামা হিজলা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি বরিশাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, তরুণী বাড়ি ফেরার পথে কবির আকন তাকে টেনে হিঁচড়ে একটি ঘন বাগানে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। পরে জব্বার বেপারীও সেখানে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনা ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় তারা দুজন মিলে তরুণীকে হত্যা করে এবং লাশ শিলনিয়া খালে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে দেয়।
মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১২ বছর পর এ মামলার রায় দেওয়া হলো।
বিডি প্রতিদিন/মুসা