‘৩৬ জুলাই : মুক্তির উৎসব’ উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আর্থিক অনুদান চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। এ আবেদনে সুপারিশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে নানামুখী আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে আম্মার বলেন, ‘এ বিজয় উৎসব গত বছরই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বন্যার কারণে হয়নি। এবার বছরপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি বৃহৎ আয়োজনেই করতে যাচ্ছি। তাই আর্থিক অনুদানের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছি। এখানে অন্য কোনো কিছু নেই। এখন পর্যন্ত ১৯টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছি। অনেকে নাকচ করেছে। শুধু ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে, চেম্বার অব কমার্স ৩০ হাজার টাকা, নগর ভবন ২ লাখ টাকা দিয়েছে। আয়োজন শেষে সব টাকার হিসাব ও ডকুমেন্টস তুলে ধরা হবে। এখানে আমার অসৎ কোনো উদ্দেশ্য নেই।’
অনুদানের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘রাজশাহীর গৌরবময় ইতিহাসে ৩৬ জুলাই একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনটি আমরা ‘জুলাই আন্দোলন’ হিসেবে স্মরণ করি, যেখানে বহু তরুণ শহীদ হয়েছিলেন এবং অনেকে আহত হয়েছিলেন গণতান্ত্রিক অধিকারের সংগ্রামে। এই ঐতিহাসিক ঘটনার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আমরা আয়োজন করতে যাচ্ছি “৩৬ জুলাই : মুক্তির উৎসব।” উৎসবে রাজশাহীর শহীদ পরিবার, আহতদের পরিবার, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সম্মানিত সমন্বয়করা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হলো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তরুণ প্রজন্মকে তাদের আত্মত্যাগের গল্প জানানো।’
এদিকে, অনুদান চেয়ে চিঠির সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী। তিনি বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতির কর্মীদের উচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা। কিন্তু একজন ৭০টির বেশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে অর্থের জন্য চিঠি দিয়েছে যা জুলাই গণ অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে যায় না।’
অপরদিকে, সুপারিশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘সামন্য বিষয় নিয়ে এত হইচই কেন বুঝতেছি না। এমন সুপারিশ ভিসি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সংগঠনের জন্য করেছি। তারা মনে করেছে উপাচার্য হিসেবে আমি সুপারিশ করলে সহযোগিতা পাওয়া সহজ হবে। সেজন্য আমি করেছি। এবারও সেরকমই ছিল। কিন্তু যেভাবে এটা উপস্থাপন করা হচ্ছে, সেটাতে অবাক হচ্ছি।’