রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার একটি মাছের খামারে মাছ ধরতে জেলেদের মাথায় পরতে হয় হেলমেট। উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের যুগিশো গ্রামে এসএস মৎস্য ফার্মে এই চিত্র দেখা যায়। জালে ধরা পড়া মাছগুলো লাফিয়ে প্রচন্ড শক্তি প্রদর্শন করে। দুর্ঘটনা এড়াতে নিজেদের রক্ষায় এ পদ্ধতি অবলম্বন করেন তারা।
জানা যায়, ৫ হাজার বিঘা জমির ওপর ১৮০টি পুকুর নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এসএস মৎস্য ফার্ম। ফার্মের মালিক দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত মৎস্যচাষি গোলাম সাকলায়েন। ফার্মে বিভিন্ন প্রকার মাছ চাষ করেন তিনি। একেকটি মাছের ওজন ৫-২০ কেজি। ফার্মের জেলে কবিরুল হক (২৮) জানান, বছর তিনেক আগে মাছ ধরার সময় বড় একটি রুই মাছ তার কান বরাবর আঘাত করে। আঘাত পেয়ে তিনি পানিতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর থেকে তিনি কানে কম শোনেন।
এসএস মৎস্য ফার্মের ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, ‘ফার্মটি ৩০ বছরের পুরোনো। প্রতিদিন গড়ে ১৬ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করা হয়। মাছ ধরার সময় আমাদের জেলেরা আহত হন। যার কারণে আমরা হেলমেট ব্যবহার শুরু করেছি।’ মৎস্য ফার্মের মালিক গোলাম সাকলায়েন বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর আগে মাছ ধরার সময় একটি রুই মাছ আমার নাকের ওপর আঘাত করেছিল। অনেক রক্তপাত হয়েছিল। আমার এক কর্মচারী মাছ ধরতে গিয়ে আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। চিন্তাভাবনা করে আমরা কর্মচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্রিকেট হেলমেট ব্যবহার শুরু করি।’ দুর্গাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, ‘ভরপানির পুকুর থেকে মাছ যখন ওপরে ওঠে, তখন তারা অধিক শক্তি প্রয়োগ করতে থাকে। বড় মাছের একটি আঘাতে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে। এ জন্য জেলেরা নিজেদের সুরক্ষায় হেলমেট পরে।’