গ্রীষ্মকালীন অতি দুর্লভ পরিযায়ী খয়রাপাখ পাপিয়া পাখির রাজকীয় ঝুঁটি মুগ্ধ করেছে পাখিপ্রেমীদের। অতিদুর্লভের তালিকায় থাকা সম্প্রতি এই পাখিটির দেখা মেলেছে চট্টগ্রামের হাজারিখিল এলাকায়। পাখিটির ছবি তুলেছেন রংপুরের বিশিষ্ট কবি, লেখক ও ওয়ার্ল্ড লাইভ ফটোগ্রাফার রানা মাসুদ।
পাখিটি সম্পর্কে জানা গেছে, এটি দেখতে কিছুটা মাঝারি আকারের কোকিল পাখির মতো। মাথায় রয়েছে রাজকীয় ঝুঁটি। পাখিটির দেহের গঠন এবং রাজকীয় ঝুঁটি খুব সহজেই পাখিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। তবে এই পাথিটি সব সময় নিজেকে গাছের ডালে আড়াল করে রাখে বলে সহজে দৃষ্টি গোচর হয় না। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে হাতেগোনা যে কয়েকটি পরিয়ায়ী পাখি দেখা যায় তার মধ্য এটি একটি। এরা গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎকাল পর্যন্ত আমাদের দেশে থাকে। এদের খাবারের তালিকায় রয়েছে শুঁয়োপোকা। গ্রীষ্মকালে অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে এরা। নীল রঙের দু-চারটি ডিম পাড়ে। কিন্তু নিজেরা সেই ডিমে তা দেয় না। কিছুদিন পর বাচ্চা ফুটে। এরা দৈর্ঘ্যে ৪৭ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৭০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। শরীরজুড়ে পীতাভ, হালকা লাল আর সাদা রঙের আভা ছড়ানো থাকে। চোখ লালচে-বাদামি।
মসৃণ কালো মাথায় লম্বা ঝুঁটি পেছনের দিকে কাত হয়ে পড়ে থাকে।
পাখির চিত্রধারণকারী রানা মাসুদ বলেন, ‘অতি দুর্লভ গ্রীষ্মকালীন পরিযায়ী পাখি খয়রাপাখ পাপিয়া। দেশের দু-একটি স্থানে অপূর্ব সুন্দর এই পাখির দু-চারটি দেখা মেলে। তবে এরা থাকে পাতার আড়ালে এবং মানুষের উপস্থিতি টের পেলে আর দর্শন দেয় না। খয়রাপাখ পাপিয়াকে অনেকে লাল পাখাযুক্ত ক্রেস্টেড কোকিল বলেও ডাকেন।