অসদাচরণের অভিযোগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মুখোমুখি হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের ‘নিউজ আপডেট’-এ এ তথ্য দেওয়া হয়। একই তথ্য দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম। গতকাল তিনি বলেন, ‘৩১ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান। ৭ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সেটি গ্রহণ করেছেন।’
সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সেই অভিযোগের তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউন্সিল রাষ্ট্রপতিকে ওই বিচারককে অপসারণের জন্য সুপারিশ করতে পারেন। জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে গত বছরের ১৬ অক্টোবর হাই কোর্টের ১২ জন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানও ছিলেন। সে সময় তাঁদের পতিত সরকারের দোসর আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
গত ২৩ মার্চ আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তদন্ত করতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এ নির্দেশনা পেয়ে ২৫ জুন নোটিস দেওয়া হলে ১ জুলাই তিনি কাউন্সিলে গিয়ে ব্যাখ্যা দেন।
২১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাই কোর্ট বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাঁদের মধ্যে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে ডেকেছেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। ২৬ আগস্ট আখতারুজ্জামানের বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি হয়। শুনানির পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত জানার আগেই ৩১ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র দেন।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর হাই কোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতি পদত্যাগ করেন। তাঁরা হলেন সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক ও এ কে এম জহিরুল হক। গত বছরের ১৯ নভেম্বর তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন।