বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জমে উঠেছে পেসার বনাম পেসারের মহারণে। ঐতিহাসিক লর্ডসে দুই দিনের খেলায় যেন ব্যাটসম্যানদের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে চলেছেন দুই দলের বোলাররা। দুই দিনে পড়েছে ২৮টি উইকেট, যার মধ্যে ১৪টি শুধু দ্বিতীয় দিনেই।
দ্বিতীয় দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া। তারা এখন ২১৮ রানে এগিয়ে, হাতে রয়েছে মাত্র ২ উইকেট। তবে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার ভয়ঙ্কর পেস ইউনিটকে সামনে রেখে এই লিডও একরকম স্নায়ুর লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার মূল কারিগর ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। মাত্র ২৮ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে তিনি নিজের নাম তুলেছেন লর্ডস টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে সেরা বোলিং পারফরম্যান্সের তালিকায়। এর পাশাপাশি, টেস্টে ৩০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তিনি, অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ পেসার হিসেবে এই অর্জন।
প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে বেডিংহ্যাম একমাত্র প্রতিরোধ গড়েন, ১১১ বলে ৪৫ রানের লড়াকু ইনিংসে। কিন্তু কামিন্সের আগুনে বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ৬ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ১৭ রানে।
৭৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুটা ভালো করলেও ধ্বংসযজ্ঞ চালান দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডি মিলে মাত্র ৭৩ রানে তুলে নেন ৭টি উইকেট। বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অজিরা।
এর মাঝেই অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক গড়েন ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ভাগ্যের ছোঁয়াও পেয়েছেন তারা—একাধিক বার বাঁচেন ক্যাচ মিস, রিভিউ আর আম্পায়ার্স কলে। দিনের শেষ দিকে ক্যারি ৪৩ রানে আউট হলেও, স্টার্ক ১৬ রানে অপরাজিত থেকে যান। লায়নও রয়েছেন তার সঙ্গী হিসেবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দুইশ রানেরও বেশি টার্গেট তাড়া করতে হবে লর্ডসে, যেখানে দুই দিনেই ২৮ উইকেট পড়ে গেছে। কামিন্সের ফর্ম এবং অস্ট্রেলিয়ার বোলিং গভীরতা দক্ষিণ আফ্রিকাকে রীতিমতো চাপে রেখেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিন শেষে):
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২১২
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৩৮ (বেডিংহ্যাম ৪৫, কামিন্স ৬/২৮)
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ১৪৪/৮ (কেয়ারি ৪৩, স্টার্ক ১৬*, রাবাদা ও এনগিডি ৩টি করে উইকেট)
বিডি প্রতিদিন/মুসা