কাবাডি বিশ্বকাপে স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। রবিবার মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ২৫-১৮ পয়েন্টে হেরেছে বাংলাদেশ।
প্রথম সেমিফাইনালে ভারত ১২ পয়েন্টে হারায় ইরানকে, আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হারে ৭ পয়েন্টে চাইনিজ তাইপের কাছে।
২০১২ সালে পাটনায় অনুষ্ঠিত প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শেষ করেছিল পঞ্চম স্থানে। এবার দুই ধাপ উন্নতি হলো। স্বাগতিকরা টুর্নামেন্ট শেষ করল তৃতীয় হয়ে।
ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আন্তর্জাতিক কাবাডিতে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা অধিনায়ক রূপালী আক্তার প্রথম রেইডেই ব্যর্থ হন। পরে ট্যাকলে পয়েন্ট হারান স্মৃতি আক্তারও। দ্রুতই এগিয়ে যায় চাইনিজ তাইপে। তবে বাংলাদেশও ফিরে আসে দ্রুত। তৃতীয় মিনিটে বোনাস পয়েন্টে খাতা খোলে তারা। অষ্টম মিনিটে শ্রাবণী মল্লিকের সফল রেইডে ৫-৪ পয়েন্টে এগিয়েও যায় স্বাগতিকরা।
এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত চাইনিজ তাইপে। ২০১২ সালের প্রথম বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়া দলটি এবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষ করে এগিয়ে ছিল ৯-৮ পয়েন্টে। বিরতির ঠিক আগে বাংলাদেশের সুপার ট্যাকলে ব্যবধান আরও কমে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বাংলাদেশই এগিয়ে যায় ১০-৮ পয়েন্টে। তবে চাইনিজ তাইপে দ্রুত পাল্টা আঘাতে ম্যাচ ফিরিয়ে নেয় ১০-১০ পয়েন্টে। এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে বাংলাদেশকে অল-আউট করে ব্যবধান বাড়ায় ১৫-১২ পয়েন্টে। শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রেখেই ২৫-১৮ পয়েন্টে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে চাইনিজ তাইপে।
আগামীকাল সোমবার ফাইনালে চাইনিজ তাইপের মুখোমুখি হবে প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ভারত।
এদিকে, নারী দলের অধিনায়ক রূপালী আক্তার আজ পেয়েছেন রাজসিক বিদায়। যেমন পেয়েছিলেন জাতীয় পুরুষ দলের অধিনায়ক আরদুজ্জামান মুন্সি। ম্যাচ শুরুর আগে ৩৪ বছর বয়সী রূপালীর মাথায় বিদায়ী মুকুট তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ তার কাঁধে তুলে দেন ‘হ্যাপি রিটায়ারমেন্ট’ লেখা উত্তরীয়।
রূপালী ছিলেন এই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ কাবাডিয়ান। ২০১২ সালের প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে ছিলেন তিনি। তার যাত্রা শুরু ২০০৯ সালে এশিয়ান জুনিয়র কাবাডি দিয়ে। এরপর ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় গেমসে খেলেন ঘরের মাঠে। পরের দুই আসরেও তিনি ছিলেন বাংলাদেশের নির্ভরতা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই