ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার বিকাল ৫টার দিকে দোগাছি ইউনিয়নের হারানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দোগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরে বিকেলে কল্যাণপুর বাজারে নজরুলের সমর্থক মিঠু বিশ্বাসকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এর কিছুক্ষণ পর জেলা শহরে বিএনপির মিটিং শেষে সিরাজ বিশ্বাসের সমর্থক গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলাম বাড়ি ফেরার পথে হারানঘাট এলাকায় পৌঁছালে নজরুলপন্থিরা তাদের ধাওয়া করেন। তারা দৌড়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন এবং নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে গাড়িতে তোলার সময় নজরুলপন্থিরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় এবং গোলাম ফারুক ও রকিবুলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় এবং এক পুলিশ সদস্য আহত হন।
সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো হয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ছোয়া ইসরাইল বলেন, আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে গোলাম ফারুকের অবস্থা সবচেয়ে সংকটজনক।
দোগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, নজরুলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজদের সঙ্গে নিয়ে নজরুল এসব কাজ করছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, দুপুরে বাজারে মিঠু বিশ্বাসের ওপর হামলার পর বিএনপির নেতারা বৈঠক করে বিষয়টি মীমাংসা করেন। এরপর কীভাবে আবার হামলার ঘটনা ঘটল, তা তিনি জানি না।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন