ইরানের রাজধানী তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, “যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবর, তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দফতরে হামলা হয়েছে। হামলার পর আগুন জ্বলতে দেখা গেছে মধ্য ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনাতে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েলি হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কমান্ডার হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন। তার সঙ্গে আরও একজন শীর্ষ গার্ড কর্মকর্তা এবং দু’জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’ হামলা চালানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে ইসরায়েলজুড়ে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’ জারির ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সক্ষমতা।
বিবৃতিতে নেতানিয়াহু আরও বলেন, “যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনেও।
স্থানীয় তাসনিম সংবাদ সংস্থার বরাতে আল–জাজিরা জানিয়েছে, শহরজুড়ে ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠা–নামা স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ত নয়। ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, রয়টার্স, সিএনএন, তেহরান টাইমস, প্রেস টিভি, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ